এলো ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, কমেছে দাম

প্রায় তিন মাস পর পেঁয়াজবোঝাই তিনটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে আবারও আমদানি শুরু হলো। গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার।

তবে সোমবার (৫ জুন) রাতে ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনায়। এই জেলার কৃষকদের দাবি, পেঁয়াজের অস্থিতিশীল বাজারের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাইকাররা দায়ী।

এদিকে ঢাকা, পাবনা ও চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, রোববারের ঘোষণার পর প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে ২৫০-৩০০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। যা রোববারের খুচরা দামের চেয়ে ১০ টাকা কম।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার তানভির আহমেদ জানান, ভারত থেকে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ১৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়ন করা হয়েছে প্রতি মেট্রিক টন ৩২০ ডলারে। আমদানি করা পেঁয়াজ ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ১০ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘আমদানিকারকের ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছাড় করে ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩২০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন ও সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য পড়ছে ৩৯ টাকা। এর ওপর বন্দর চার্জ, ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা পড়বে।’

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে আজ কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি দিয়েছে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসি করেছেন। বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি করেছেন সেসব পেঁয়াজ এলে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা অর্ধেকে নেমে আসবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, এ বছর দেশীয় উৎপাদন ছিল প্রায় ৩৪ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু, মজুত সুবিধার অভাবে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে, দেশে এখনো প্রায় ৬.৫০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.