আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ ১৭ হাজার কোটি টাকা

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ হুহু করে বাড়ছে। ডিসেম্বর শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬ টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ৩৫ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাট ঋণ ও বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যদিও ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৩হাজার ৮০৪ কোটি টাকা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ নিয়ে পিপলস লিজিং খেলাপির শীর্ষে রয়েছে। আর ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ নিয়ে বিআইএফসি দ্বিতীয় অবস্থানে এবং ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ নিয়ে খেলাপির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। এছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ খেলাপির হার নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৮৭ দশমিক ৩২ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে এবং ৮৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ নিয়ে ফাস্ট ফাইন্যান্স ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে যথাযথ যাচাই বাছাই ছাড়া ঋণ দিয়েছে। এছাড়া বেনামে প্রচুর ঋণ বিতরণ করায় খেলাপি ব্যাপকহারে বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আমানত ফেরত দিতে পারছে না। এতে গ্রাহকদের আস্থা কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৫২ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৫২ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের খেলাপির পরিমাণ ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এছাড়া এ খাতের ৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ১৭১ কোটি টাকা। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করায় পুরো খাতের সমন্বিত প্রভিশন ঘাটতি দাড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.