পুঁজিবাজারের জন্য স্মার্ট সংস্কার দরকার: সিপিডি

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য স্মার্ট সংস্কার দরকার বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (০২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডির পর্যালোচনা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার নিয়ে এসব কথা বলেন সিপিডির প্রশাসন এবং অর্থ বিভাগের পরিচালক এম শফিকুল ইসলাম।

এম শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত থাকলে হয়তো এই বাজেটেই কিছু সংস্কার দেখতে পেতাম।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এছাড়া বিও হিসাব এবং কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েও আপত্তি রয়েছে। তাই পুঁজিবাজারে এসব আপত্তিকর বিষয় সংস্কার করা ছাড়া স্মার্ট বাজার গঠন করা সম্ভব নয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিগত করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া
ন্যূনতম আয়কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ন্যূনতম আয়করের বিষয়টি বৈষম্যমূলক। এটি তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে দেশের অর্থনীতি। এই কঠিন সময়ে বাজেটে কঠিন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বার্ষিক উন্নয়ন ও বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা যে চমক দেখানো হয়েছে তা উচ্চাভিলাষী, বাস্তবসম্মত নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বৈদেশিক আয়ের দিকে তাকায় তাহলে দেখব রেমিট্যান্স নিম্নমুখী। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিন্তু নিম্নমুখী। বৈদ্যুতিক এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক একটা ঘাটতি দেখা গেছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দুই অর্থবছরের উন্নয়নের যে সূচক দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪ এ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল। পরে এটাকে নামিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/ এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.