‘চক্রান্তের সম্মুখীন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা’

বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গভীর চক্রান্তের সম্মুখীন হয়েছে। বর্তমানে ঘরে ঘরে পাকিস্তানি কাপড়ে ভরে গেছে। সরকার ২০৩০ সালে টেক্সটাইল ও ক্লথিং থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে খাতটির এই নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিন থাকলে সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিটিএমএ আয়োজিত টেক্সটাইল খাতের বিরাজমান সমস্যা ও উত্তরণ সংশ্লিষ্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট বলেন, আশা করেছিলাম করোনা পরবর্তী সময়ের পর থেকে আমাদের মিলগুলো ঈদুল ফিতরের বাজারটি পাবে। তবে তীব্র ডলার সংকটের পরেও ঈদুল ফিতরসহ সকল সময়ে বন্ডেড ওয়্যার হাউসের মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের আমদানি করা বিদেশি সুতা শহরের বড় শপিং মলগুলোতে অবাধে বিক্রয় করা হয়। এতে স্থানীয় মিলগুলোর অবস্থা সংকটের মধ্যে পড়েছে ।

মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, পাকিস্তান ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন থেকে আসা সুতা-কাপড়সহ বিভিন্ন ড্রেস-ম্যাটেরিয়েল বিভিন্ন নগরীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার ইসলামপুরের বিক্রমপুর প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এগুলো ব্যাপকভাবে বিক্রয় হচ্ছে। আমরা জানিনা সরকার এর মাধ্যমে কি পরিমাণ রাজস্ব পেয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় এর ফলে দীর্ঘ দিনে গড়ে ওঠা প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতে বিদ্যমান ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি আজ অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সদস্য মিলগুলো অধিকাংশই ভারী শিল্প ও ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ। খাতটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিনারিজ দিয়ে পরিচালিত। তৈরি পণ্যের সুতা-কাপড়ের মান অক্ষুন্ন ও মানসম্পন্ন ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিংয়ের জন্য মিলগুলো সবসময় চালু রাখতে হয়। সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছিলেন না। তাই আমাদেরকে ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশনে উৎসাহিত করেন। এ লক্ষ্যে আমাদেরকে বিদ্যুত জেনারেশনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হয়। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে জেনারেটর এবং গ্যাস সংযোগের জন্য নিরাপত্তা জামানত হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে গ্যাস বিল হিসাবে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.