আবারও রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট দেখা দেয়। চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এতেও ডলার সংকট কাটছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আবারও রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার (২৪ মে) দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে। একমাস আগে (৩০ এপ্রিল) রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২২ সালের ২৪ মে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৮ মে) দেশের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে এসেছিল। যেটা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্ট দেওয়ায় রিজার্ভ নেমেছিল ৩০ বিলিয়ন এর নিচে। গত ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল।

কোন দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না। তবে আমাদের রিজার্ভ কম ছিল এখন বাড়ছে, সাথে আমদানির দায়ও কমছে। আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের আমদানির দায় মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আমদানির দায় মেটাতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়ছে প্রতি মাসে। সে হিসাবে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি সময়ের আমদানির দায় মেটানো সম্ভব। সে হিসেবে দেশের বর্তমান রিজার্ভকে কোন অবস্থায় খারাপ অবস্থা বলা যাবে না।

এর আগে ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। ওই সময় অধিকাংশ প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। ফলে দেশের বাড়ে আমদানি খরচও বেড়ে যায়। তবে সেই তুলনায় বাড়েনি রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়। এই কারণে আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। এরফলে দেশের রিজার্ভ কমতে থাকে।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.