গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

গুজরাট টাইটান্সকে ১৫ রানে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করেছিল চেন্নাই। জবাবে গুজরাটের ইনিংস থেমেছে ১৫৭ রানে। এ নিয়ে দশমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে গুজরাটকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। ঋদ্ধিমান ১২ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে মাত্র ২২ রানে। এরপর ওয়ান ডাউনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও।

প্রথম বলে ৪ মেরে শুরু করলেও তিনি ফেরেন ৭ বলে ৮ রান। দাসুন শানাকা ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হলে বিপাকে পড়ে গুজরাট। এরপর দ্রুত ফিরে গেছেন ডেভিড মিলার (৪) ও একপ্রান্ত আগলে রাখা গিল। এই ওপেনার আউট হন ৩৮ বলে ৪২ রান করে। এরপর আর কেউ টিকতে পারেননি উইকেটে। যা একটু চেষ্টা করেছিলেন রশিদ। তিনি ১৬ বলে ঝড়ো ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। যদিও তা জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। চেন্নাইয়ের হয়ে ২টি উইকেট উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার, মাহিশ থিকশানা, রবীন্দ্র জাদেজা ও মাথিশা পাথিরানা। একটি উইকেট নেন তুশার দেশপান্ডে।

এই ম্যাচে টসে হের ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাই সুপার কিংসকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। এই দুই ওপেনার মিলেই তোলেন ৮৭ রান। রুতুরাজ ৪৪ বলে ৬০ রান করে আউট হয়েছেন। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা শিভম দুবে বেশিদূর এগোতে পারেননি। তিনি ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে। এরপর আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে চেন্নাইয়ের রান বাড়িয়েছেন কনওয়ে। এই কিউই ব্যাটার পেতে পারতেন হাফ সেঞ্চুরি। যদিও ব্যক্তিগত ৪০ রানে তিনি কাঁটা পড়েছেন মোহাম্মদ শামির বলে রশিদ খানকে ক্যাচ দিয়ে।

রাহানেও ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। আম্বাতি রাইডুও ফিরেছেন ১৭ রান করে। শেষদিকে জাদেজা ১৬ বলে ২২ ও মঈন আলী ৪ বলে ৯ রান করে চেন্নাইয়ের সংগ্রহটাকে ১৭০ এর ওপারে নিয়ে যান। গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শামি ও মোহিত শর্মা। একটি করে উইকেট নেন দর্শন নালকান্ডে, রশিদ খান ও নূর আহমেদ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.