ব্যাংক খাতের সংকট পুরোপুরি কাটেনি: এবিবি

ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। এখনো পুরোপুরি সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারেনি। তবে সংকটের মধ্যেও কোন ব্যাংকের আমানতকারীরা টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোন চ্যালেঞ্জ না বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। এসব প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কোন ধরনের ভালো সুবিধা পান না। তাদের কোন ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। যা আমাদের দেশে দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। এখনো পুরোপুরি সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারেনি। তবে সংকটের মধ্যেও কোন ব্যাংকের আমানতকারীরা টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোন চ্যালেঞ্জ না। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, এখনও এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট এলসিগুলো খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলে হয়তো ৪টি এলসি খুলতে পারছি। আমরা গুরুত্ববহ পণ্য আমদানির জন্য এলসি ওপেন করছি। আমাদের আগে খেলনা আমদানির প্রয়োজন নেই, কারণ আমাদের সার দরকার, তেল দরকার। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তরল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংকখাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.