রোববার বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

আগামীকাল রোববার (২১ মে) বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিপসটি উদযাপিত হবে।

বর্তমান বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপই বেশি। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, মেদস্থূলতা, বিষ্ন্নতা, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, স্ট্রেস ইত্যাদির ফলে মৃত্যুর হার ক্রমশই বাড়ছে। এসব অসুস্থতা থেকে মুক্ত থেকে সুস্থ কর্মময় জীবন পেতে সচেতন মানুষ তাই ঝুঁকছেন এখন লাইফস্টাইল পরিবর্তনের দিকে।
আর লাইফস্টাইল পরিবর্তনের একটি বড় উপাদান হলো, দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা। দিনে ২০–৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা হতে পারে প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক। সাথে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগ ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম, ভােলা ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে তো কথাই নেই। অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সাশ্রয়ী হবে চিকিৎসা ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।
আশার কথা, আমাদের দেশে সামগ্রিকভাবে এখন মেডিটেশন ও সায়েন্টিফিক লাইফস্টাইল নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগ. (অব.) ডা. আবদুল মালিক, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহল মনে করছেন, পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন মেডিটেশন।
‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’– বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের এ প্রতিপাদ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে সুস্থ সবল কর্মউদ্যোগী মানুষের কোনো বিকল্প নেই। তাই মেডিটেশনকেও সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ২০২১ সাল থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দিবসটিকে উদযাপন করে আসছে। এ বছরও ২১ মে রবিবার সকাল ৬.০০টায় সারা দেশে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে সমবেত হবেন ধ্যানীরা। মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.