পাকিস্তান শাসন করছে সেনাপ্রধান: ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে এবং তার দলের সাত সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতারের জন্য সামরিক বাহিনীর প্রধানকে দায়ী করেছেন। ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার আটকের পেছনে সামরিক বাহিনী রয়েছে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান শাসন করছে এখন সেনাপ্রধান। আমাদের ওপর যে অত্যাচার ও ধরপাকড় চালানো হয়েছে তা সেনাপ্রধানই করেছেন। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সেনাপ্রধান এ কাজ করেছেন এবং এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অগণতান্ত্রিক ও দায়িত্বহীন আচরণ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।

সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, দেশের সামরিক বাহিনী আইনের ঊর্ধ্বে, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আইনের ঊর্ধ্বে। যখন দেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায় তখন সেখানে জঙ্গলের শাসন নেমে আসে। তারা লোকজনকে অপহরণ, আটক ও গুম করতে পারে। তারা বিচারকদের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো জবাবদিহিতা থাকে না; এটা গণতন্ত্র নয়।

তিনি আরও বলেন, আসিম মুনির এবং কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এটি নিশ্চিত করতে চান যে, আমি যেন ক্ষমতায় ফিরতে না পারি। আমাকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য তারা ক্ষুধার্ত। তারা জানেন নির্বাচনে আমাদের ভূমিধস বিজয় হবে। এজন্য তারা আমাকে কারাগারে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।

পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯ সালে আইএসআইয়ের প্রধান পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। গত শুক্রবার পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট ইমরান খানকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স তাকে আটক করে। ইমরান খানের আটকের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সহিংসতা শুরু হয় এবং এতে অন্তত ১১ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ইমরান খানের পক্ষে বিক্ষোভ করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন তিন হাজার মানুষ। পার্সটুডে

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.