চীন-কানাডার পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার

কানাডার এক সাংসদ ও তার পরিবারকে ভয় দেখানোর অভিযোগে সোমবার চীনা কূটনীতিক ঝাও ওয়াইকে বহিষ্কার করেছিল কানাডা৷ এর প্রতিশোধ হিসেবে মঙ্গলবার সাংহাইয়ের কানাডীয় কনস্যুলেটে কর্মরত এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে চীন৷

কানাডার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার সাংসদ মাইকেল চং ও তার পরিবারকে হংকংয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল৷ চীনা কূটনীতিক ঝাও এই কাজে জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷

উইগুর মুসলমানদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে চীনের সমালোচনা করে কানাডার সংসদে আনীত এক প্রস্তাবে সই করেছিলেন মাইকেল চং৷ ২০২১ সালের এক গোপন নথির সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল৷

এই প্রতিবেদনের পর চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা৷ এ প্রসঙ্গে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলেছি: আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবো না৷ কানাডায় কর্মরত কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে, তারা যদি এই ধরনের আচরণে লিপ্ত হন, তাহলে তাদের দেশে পাঠানো হবে৷’

তবে বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ এবং একটি অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে৷ ‘যদি কানাডিয়ান পক্ষ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও স্বেচ্ছাচারীর মতো আচরণ করে তাহলে চীনের দৃঢ় এবং কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে৷’

এদিকে অটোয়ার চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র কানাডার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন৷ কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ‘চীনবিরোধী’ অ্যাজেন্ডায় যুক্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷

এর আগে ২০১৮ সালে চীনের হুয়াওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছিল কানাডা৷ তার প্রতিশোধ হিসেবে চীন দুজন কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছিল৷ এ ছাড়া চীন ২০১৯ ও ২০২১ সালের কানাডার নির্বাচন প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.