ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নাইমুল হোসাইন রিফাত (১৮)। সে উপজেলার সোনাইমুড়ী কলেজের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন আগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে ইভটিজিং করে বখাটেরা। তখন ওই ঘটনায় প্রতিবাদ করে স্থানীয় কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে রিফাত। এ ঘটনার জের ধরে দুপুর দেড়টার দিকে ৮-১০ জন বহিরাগত বখাটে সোনাইমুড়ী কলেজে প্রবেশ করে।  এরপর তারা রিফাতের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে তাকে খুর দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, রিফাতের উপর হামলাকারীরা সবাই বখাটে বহিরাগত। রিফাত ইভটিজিং নিয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরা রাসেল নামে এক হামলাকারীকে আটক করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। রিফাত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সোনাইমুড়ী কলেজের অধ্যক্ষ কে এম শফিকুর রহমান বলেন, বহিরাগত বখাটেরা কলেজের শ্রেণি কক্ষে ঢুকে রিফাতকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। আমরা তখন যোহরের নামাজে ছিলাম। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক এসে ঘটনার মূল হোতা রাসেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় উভয়ে আহত হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কলেজে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.