মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের মামলা চলতে বাধা নেই

স্ত্রীমাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

মামলার চার্জ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে বাবুল আক্তারের দায়ের করা রিভিশন পিটিশন খারিজ করে মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জানান, হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ চালিয়ে যেতে বিচারিক আদালতের কোনো আইনি বাধা নেই। বিচারিক আদালত এ মামলায় মিতুর বাবার সাক্ষ্য নিতে পারে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন। বাবুল আক্তারের সঙ্গে অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক। পরে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাবুল আক্তার।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.