লম্বা সময় ধরেই একজন পরিপূর্ণ ফিনিশারের খুঁজছে বাংলাদেশ, যারা কিনা বুদ্ধিমত্তা আর হিটিং অ্যাবিলিটি দিয়ে নজর কাড়বেন। চার-ছক্কার বন্যায় ভাসিয়ে পুরো ম্যাচ নিজেদের করে নেবেন। নাসির হোসেন থেকে শুরু করে আফিফ হোসেন ধ্রুব, এর আগে ফিনিশিংয়ের ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাঈম ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফদ্দিন। তবে কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশ কয়েক বছর সার্ভিস দিয়েছেন। তবে সবশেষ কবছরে তার স্ট্রাইক রেট পেছনে ফেলে দিয়েছে তাকে। এমনকি জাতীয় দল থেকে বাদও পড়তে হয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। যার ফলে বিশ্বকাপের মাস পাঁচেক আগেও হন্য হয়ে খুঁজতে হচ্ছে একজন পরিপূর্ণ ফিনিশার। ওয়ানডে বিশ্বকাপে কাকে খেলানো হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নন তামিম ইকবাল।
ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছেন, সাত নম্বর পজিশনের জন্য তাদের হাতে ২-৩ জন ক্রিকেটার আছেন। যে তালিকায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও আফিফ। আয়ারল্যান্ড সফরে বাজিয়ে দেখা হতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজকেও। যে ভালো করবেন তাকেই নিয়ে যাওয়া হবে বিশ্বকাপে। এদিকে সাত নম্বর ব্যাটারদের নিয়ে বাস্তবতার কথাও শুনিয়েছেন তামিম।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তামিম বলেন, ‘৭ নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ পজিশন। যেটা আপনাকে সাক্ষাৎকারের শুরুতে বললাম। কারণ মিরাজ দেখিয়েছে যে তার সক্ষমতা আছে। বিশেষ করে ভারত সিরিজে সে একাই আমাদের সিরিজ জিতিয়েছে। সেটাও ব্যাটিং দিয়ে। ওই সুবিধাটা আমরা পাই এই কারণে ৭ নম্বরে যদি খেলাতে পারি তাহলে আমরা একেজন বোলার বেশি খেলাতে পারব। এই কম্বিনেশনগুলাই লাস্ট সিরিজ, এই সিরিজ বা পরবর্তী সিরিজে দেখব। আপনার যখন ৬ জন বোলার থাকবে তখন আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন। পাঁচটা বোলার থাকলে যেকোনো একদিন যদি কারও খারাপ যায় তখন আপনি অধিনায়ক ও দল হিসেবে বিপাকে পড়বেন। এই কম্বিনেশনগুলা আমরা দেখছি। ৭ নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ পজিশন আর আমি আগেও বলেছি এই পজিশনে খুব বেশি সাধুবাদ পায় না। ৭ নম্বরে কখনও কখনও ২৫ রান ফিফটির সমান। ২৫ রান করে কেউ যদি আউট হয়ে যায় তিনদিন পর আমরা বলি যে ওতো রান করছে না। এটা আসলে থ্যাংকসলেস পজিশন। আমার কাছে মনে হয় ওই পজিশনের জন্য আমাদের হাতে ২-৩ জন আছে। যে সেই জায়গার জন্য উপযুক্ত হবে আমরা তাকেই নেবো।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.