এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি রপ্তানি আয়ে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০৫ কোটি ডলার। মাসটিতে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। অর্থাৎ এসময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাবদ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যার পরিমাণ ৭৮ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার কম।

ফেব্রুয়ারি মাসের পর মার্চ ও এপ্রিল টানা দুই মাস বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় কমলো। চলতি বছরে মার্চ মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রপ্তানি হয়েছিল মার্চে।

ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় ছিল ইতিবাচক ধারায়। ওই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য। আর বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

এদিকে মার্চ ও এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যামাত্রা পূরণ না হলেও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের মোট রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস (জুলাই ২০২২) থেকে (এপ্রিল ২০২৩) সাল পর্যন্ত মোট ১০ মাসে বিশ্ববাজারে মোট ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

কিন্তু এ সময়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৭৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির। সেই হিসেবে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ ১৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ পণ্য কম রপ্তানি হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.