এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ । এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে ১১টি বোর্ডে ২৯ হাজার ৭৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট তিন হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি টিম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। বিটিআরসির তত্ত্ববাধানে একটি টিম ফেসবুক তদারকি করছে। এরসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তশিক্ষা বোর্ডর কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের পেজ দ্রুত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য ফেসবুকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে। যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের টাকা লেনদেন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।

কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অনুনোমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহণকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচ যুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ একটি রেজিস্টারে লিখে রাখা হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড সচিবকে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন। জেলার ক্ষেত্রে ট্রেজারি এবং উপজেলার ক্ষেত্রে থানা প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক সংরক্ষণ করতে হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনোভাবে পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী শিক্ষক ও কর্মচারী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে। ট্রেজারি/থানা থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য দূরত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করে প্রশ্নপত্র আনতে হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.