ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে ঘুরতে যাবেন যেসব স্থানে

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই পুরো পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। ঈদের ছুটিতে কম বেশি সবাই ঘুরতে যায়। কেউ দেশের বাইরে যায়, কেউ দেশের ভিতরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যায় আবার কেউ ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এবার অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ট সবাই। বাইরে বের হবার কথা মাথায় আসলেই একটা অস্বস্তি বোধ হয়, তার উপরে যাদের বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে তারা তো ভাবতেই পারেন না কোথাও যাবার কথা। কিন্তু ঈদে তো পরিবার নিয়ে কোথাও না কোথাও যেতে হবেই তাই যারা ঈদে ঢাকায় থাকবেন বলে সিগ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের জন্য যে যে জায়গায় ঘুরতে গেলে ভালো লাগবে সেগুলো হল-

জাতীয় জাদুঘর ও স্বাধীনতা জাদুঘর

ঈদের ঘুরতে যাওয়ার মধ্যে জাতীয় জাদুঘর ও স্বাধীনতা জাদুঘর খুবই ভালো ও সুন্দর পরিবেশের জায়গা। স্বপরিবারে ঘুরতে যাওয়ার মত জায়গা। ঘুরার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিক্ষণীয় একটা জায়গা।

লালবাগ কেল্লা

পুরান ঢাকার ভিড় ঠেলে কেল্লার সদর দরজা দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়বে পরী বিবির মাজার। এখানে রয়েছে দরবার হল, নবাবের হাম্মামখানা। আছে শাহি মসজিদ। রয়েছে একটি জাদুঘরও। লালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ। মোগল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে লালবাগের কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।

আহসান মঞ্জিল

পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মোগল আমলের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আহসান মঞ্জিল। খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।

শিশুমেলা

শিশু-কিশোরদের অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলা। এখানে আছে ৪০টির মতো রাইড। পরিবারের সবার চড়ার মতো আছে ১২টি রাইড।

হাতিরঝিল

ইটপাথরের এই ব্যস্ত শহরে ক্লান্তিকর নাগরিক জীবনে রাজধানীর হাতিরঝিল হয়ে উঠেছে মনোরম এক বিনোদন কেন্দ্র। দিনে কিংবা রাতে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন হাতিরঝিলে। একটু সন্ধ্যা হলেই বেশি জমে ওঠে এই এলাকা। ভিন্ন ডিজাইনে করা ব্রিজের নিচ থেকে আলো যেন পুরো পরিবেশকে দিয়েছে অন্য রূপ। আর পুরো হাতিরঝিল ঘুরে দেখতে চাইলে রয়েছে বাসসার্ভিসও।

ফ্যান্টাসি কিংডম

থিমপার্কগুলোর মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি কিংডম। ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় গড়ে ওঠা এই বিনোদন কেন্দ্র ঈদে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সেরা। গরমে সাঁতার কাটা যাবে ওয়াটার কিংডমে।

চিড়িয়াখানা

ঢাকা চিড়িয়াখানায় ঈদের সময় দর্শনার্থী সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঈদের দিন যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে ঈদের পরের দিনগুলোতে যেতে পারেন। কারণ এ সময় দর্শনার্থীদের ঢল নামবে চিড়িয়াখানায়।

সাগুফতা

কালশী সড়ক ধরে মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে কিছুটা এগিয়ে এলে ফাঁকা জায়গায় পাবেন নাগরদোলা। আছে ঘোড়ার পিঠে ঘোরার ব্যবস্থাও। বেলুন, খেলনার দোকান মিলিয়ে পুরো জায়গায় গ্রামীণ মেলার আমেজ। রাস্তার পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গা এবং ঝিল থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। ঘোরাঘুরি শেষে দেশি-বিদেশি খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ আছে সাগুফতা এলাকায়। মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে নেমে কিংবা কালশী নতুন রাস্তার মোড়ে নেমে রিকশায় যেতে পারবেন সাগুফতায়।

নন্দন পার্ক

সাভারের নবীনগরের নন্দন পার্কে নানা রকম রাইড আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি আছে খুদে চিড়িয়াখানাও। ঈদ উপলক্ষে কনসার্টের ব্যবস্থা হয়ে থাকে এখানে। নন্দন পার্ক খোলা থাকবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা।

বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক

চাইলে নৌকায় করে ঘুরতে পারেন। একপাশে পাতা আছে বেঞ্চ। সেখানে বসে গল্পে মশগুল হতে পারেন বন্ধুদের সঙ্গে। জায়গাটা গাছগাছালিতে ঢাকা। গাছের সারির ফাঁকে ফাঁকে পাকা রাস্তা। এটি একটি পার্ক, নাম বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক। শহরের কোলাহল ছেড়ে রাজধানীর উপকণ্ঠ শ্যামপুরে প্রায় সাত একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে পার্কটি। সবুজ বৃক্ষরাজি আর বুড়িগঙ্গা নদী পার্কটিকে করে তুলেছে নয়নাভিরাম।

তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক

নতুন নতুন চমকপ্রদ রাইডস ও মজার সব খেলনা উপভোগের জন্য আপনার আনন্দকে আরো প্রাণবন্ত করতে পার্ক সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। তাই সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক থেকে। এটি ঢাকার মিরপুর ১-এ অবস্থিত। খোলা থাকবে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত।

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক ঢাকার সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের পাশে অবস্থিত। খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এখানে ১৩টি রাইডের মধ্যে রয়েছে ফ্লাওয়ার কাপ, মিনি ক্যাব, বেবি কার, টয় ট্রেন, ভয়েজার বোর্ড, টুইস্টার, সুপার চেয়ার, মেরি-গো-রাউন্ড, ওয়ান্ডারল্যান্ড হুইল ইত্যাদি।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.