শর্ত মানলে ঈদের পরও চলবে মোটরসাইকেল: সেতু সচিব

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দীর্ঘ ৯ মাস ২৪ দিন পর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হবে। এজন্য প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা।

সেতুটির টোলপ্লাজায় প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি ও প্রতি মিনিটে চারটি মোটরসাইকেল টোল দিতে পারবে। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য বাম দিকে একটি ডেডিকেটেড লেন তৈরি করাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

এ সময় সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের টোল বুথসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নিয়মতান্ত্রিকভাবে মোটরসাইকেল চলাচলে চালকদের প্রয়োজনীয় শর্ত দেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য নির্ধারিত লেন ও টোল বুথ করা হয়েছে। তবে চাপ বেশি হলে অন্য বুথে যানবাহন ফাঁকা থাকলে সেখানেও টোল দিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে অন্যান্য যানবাহনের মতো মোটরসাইকেলেরও গতি ৬০ কিলোমিটার রাখা হয়েছে। চালকরা শর্ত মেনে চললে ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে। এছাড়া যে সকল শর্ত দেওয়া হয়েছে সেসব শর্ত মেনে চললে ঈদ-পরবর্তী সময়েও মোটরসাইকেল চালু রাখা হবে বলে জানান সেতু সচিব।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের, নির্বাহী প্রকৌশলী রজ্জব আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনে ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়। এরমধ্যে মোটরসাইকেল ছিল প্রায় ২৭ হাজার। ওই দিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.