আবারও হারল লিটনের কলকাতা

চড়া দামে কিনলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না হ্যারি ব্রুক। প্রথম তিন ম্যাচে রান না পাওয়া ব্রুক এদিন রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের ওপর। ইংলিশ এই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের পুঁজি ২২৮। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা।

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নীতিশ রানা। শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তুলেছেন রিংকু সিংও। তবে তাদের দুজনের কেউই দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারে ৩২ রান প্রয়োজন হলে এদিন কলকাতা নিতে পেরেছে মোটে ৮ রান। তাতে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের কাছে ২৩ রানে হারল নীতিশের দল।

ইডেন গার্ডেন্সে জয়ের জন্য ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় কলকাতা। ভুবেনেশ্বর কুমারের অফ স্টাম্পের বাইরে বল তাড়া করতে গিয়ে থার্ডম্যানে থাকা উমরান মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তিনে নেমে আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ভেঙ্কেটেশ আইয়ার আউট হয়েছেন ১০ রানে।

প্রথম বলেই মার্কো জেনসেনকে উইকেট দিয়ে এসেছেন সুনীল নারিন। তাতে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কলকাতা। এরপর স্বাগতিকদের হাল ধরেন নারায়ণ জগদিশান ও নীতিশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উমরানের ওপর তাণ্ডব চালান কলকাতার অধিনায়ক। সেই ওভারে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৮ রান নেন তিনি।

জগদিশান ৩৬ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর আন্দ্রে রাসেল সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে। ৪১ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে কলকাতাকে খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন নীতিশ। শেষ দিকে ৩১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস অপরাজিত থাকলেও জয় পাওয়া হয়নি তাদের। হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মায়াঙ্ক মারকান্দে ও জেনসেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। সফরকারীদের হয়ে ৫৫ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রুক। এ ছাড়া এইডেন মার্করাম ৫০ ও অভিষেক শর্মা ৩২ রান করেছেন। কলকাতার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রাসেল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.