দিন কাটে টাকা বিক্রিতে, তবুও ফিরতে হয় খালি হাতে

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সারা বছরই নতুন টাকা বিক্রি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদুল ফিতরের আগে নতুন টাকা নিতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে বছরে দুইবার বড় অঙ্কের নতুন নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। নানা কারণে যারা ব্যাংকে যেতে পারেন না তারা মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছুটা দূরে সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে, গুলিস্তান, সদরঘাট, মিরপুরসহ বেশ কয়েক জায়গায় নতুন নোট কেনাবেচা হওয়ার স্থানগুলো থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করেন।

মতিঝিল ছাড়াও নিয়মিত টাকা বেচা-কেনা হচ্ছে রাজধানী গুলিস্তানে। যদিও আন্ডার পাস বা পাতাল সড়ক ও মার্কেটের ওপরে টাকা বিক্রি হয় প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। এসব টাকার দোকানে দুই টাকা থেকে শুরু করে ৫, ১০, ২০, ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত সব ধরনের নোটের নতুন বান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে।

এসব ব্যবসায়ীরা অর্থসূচককে জানান, ঈদে টাকার চাহিদা থাকে বেশি। ঈদ মৌসুমে একজন ব্যবসায়ী টাকা বিক্রি করে কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করেন। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে ঈদের সময়ে অনেক বেশি আয় হয়। তবে অনেক সময় টাকা চুরি হয়ে যায়। তখন দিনশেষে খালি হাতে ফিরতে হয়। এছাড়া অনেকসময় টাকার হিসাবে ভুল হয়। এর ফলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়।

মতিঝিলের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর অর্থসূচককে জানান, এখন চাহিদা বেশি থাকায় ১০ টাকার নোটের ১ হাজার টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা বেশি দামে। ৫ টাকার নোটের ৫০০ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা বেশি দামে। বর্তমানে নতুন টাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। কারণ এখন এসব নোটের চাহিদা অনেক বেশি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নতুন টাকার নোট কিনতে অনেক মানুষ ভিড় করেছেন। তারা ২০ টাকার নোটের ২ হাজার টাকার বান্ডেল ক্রয় করছেন ২০০ টাকা বেশি দিয়ে। এছাড়া ৫০ টাকার ৫ হাজার টাকার বান্ডেলে ১০০ টাকা এবং ১০০ টাকার ১০ হাজার টাকার বান্ডেলে ২০০ টাকা বেশি দিয়ে ক্রয় করছেন।

এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সমপরিমাণ টাকার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে নতুন টাকা দেওয়া হচ্ছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন। ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও গাজিপুর অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে নতুন নোট দেওয়া হচ্ছে। আগামী সোমবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) এসব শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা পাওয়া যাবে বলে জানায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থসূচক/সুলাইমান

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.