অক্সফোর্ডের ম্যালেরিয়া টিকাকে অনুমোদন

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই টিকাকে অনুমোদন দিল ঘানা। কারণ ঘানায় প্রতি মিনিটে একটি শি্শু মশাবাহিত রোগে মারা যায়। এই প্রথম সেই ভ্যাকসিন বিশ্বের কোনো একটি দেশে অনুমোদন পেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঁচ থেকে ৩৬ মাস বয়সের শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেয়া যাবে বলে ঘানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বয়সের বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। আশা করা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন ঘানা এবং আফ্রিকার অন্য দেশে কার্যকর হবে।

আর২১/ম্য়াক্সিম এম ভ্যাকসিনের চিফ ইনভেস্টিগেটর আদ্রিয়ান হিল বলেছেন, ‘অক্সফোর্ডে ৩০ বছর ধরে ম্যালেরিয়া ভ্য়াকসিন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এবার তা সফল হলো। বাকি দেশও চাইলে যাতে এই ভ্যাকসিন পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘

প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় ছয় লাখ মানুষ মারা যান। বেশির ভাগই আফ্রিকায় এবং সেখানে শিশুদের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার খুব বেশি। কয়েক দশক ধরে কাজ করার পর গতবছর ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন মসকুউরিক্স বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার ছাড়পত্র পায়। ব্রিটিশ কোম্পানি জিএসকে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কিন্তু এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে সংশয় ছিল। এই ভ্যাকসিন আফ্রিকার ১০ লাখ বাচ্চার উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। এর সাফল্যের হার ৬০ শতাংশ।

অক্সফোর্ড ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা বছরে ২০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করবে। অক্সফর্ডের ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার ৮০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। বুরকিনা ফাসো, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়াতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.