প্রয়োজনে ইউক্রেনকে সমস্ত যুদ্ধবিমান দেবে পোল্যান্ড

যুদ্ধের মধ্যেই পোল্যান্ড সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার ওয়ারশ-তে তার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দুদার। এদিন পোল্যান্ডের সর্বোচ্চ পুরস্কারও দেওয়া হয় জেলেনস্কিকে।

সেখানে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেনকে প্রথম দিন থেকে সাহায্য করছেন তারা। ভবিষ্যতেও করবেন। প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই পোল্যান্ড ইউক্রেনকে ১৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ওয়ারশ-তে দুদাকে একাধিকবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। পোল্যান্ডের সাহায্যের কথা স্বীকার করে নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে পোল্যান্ড কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাহায্য করছে। আমি এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

অন্যদিকে, দুদা জানিয়েছেন, অদূর ভবিষযতে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর বৈঠকে ইউক্রেনের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য সওয়াল করবে পোল্যান্ড।

জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণ করার পরেই পোল্যান্ড ইউক্রেনের উদ্বাস্তুদের জন্য দরজা খুলে দেয়। এখনো ইউক্রেনের একটি বড় সংখ্যার উদ্বাস্তু পোল্যান্ডে বসবাস করছেন। ভবিষ্যতেও তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, পোল্যান্ডকে তা দেখতে হবে। এখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সীমান্তের সীমারেখা দেখা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইউরোপে মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান ছিলেন বেন হজেস। সাবেক এই সেনা অফিসার বলেছেন, বাখমুতে প্রবল লড়াই হচ্ছে। কিন্তু বাখমুতের কৌশলগত এলাকা দখল করে বিশেষ লাভ হবে না। রাশিয়াকে যদি সত্যি সত্যিই সমস্যায় ফেলতে হয়, তাহলে ক্রাইমিয়া পুনর্দখল করতে হবে। এবং তারপর সেখান থেক দনবাসে ঢুকতে হবে।

এদিকে বাখমুতে এখনো প্রবল লড়াই চলছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনা জওয়ানরা যদি মৃত্যুমুখে গিয়ে পড়েন, তখন তাদের রক্ষা করা প্রথম কর্তব্য। কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া যায় না। এবং তার জন্য সেনা প্রত্যাহার করতে হলে, করতে হবে। বাখমুত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই জেলেনস্কি একথা বলেছেন বলে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। যদিও জেলেনস্কি কোনো এলাকার নাম উচ্চারণ করেননি। ইউক্রেনের দাবি, বাখমুত এখনো তাদের দখলে। রাশিয়াও দাবি করেছে, তাদের বেসামরিক সেনা বাখমুতে ঢুকে পড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে প্রবল লড়াই চলছে সেখানে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.