আল আকসা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা

আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবারই আলোচনা হবে। আরব দুনিয়ার কড়া নিন্দা সত্ত্বেও দুই বার ইসরায়েলি বাহিনী এই পবিত্র মসজিদ চত্বরে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। সেই বিষয়েই আলোচনা করতে চেয়েছে আমিরাত ও চীন।

ওয়াফা সংবাদসংস্থাকে উদ্ধৃত করে আল-জাজিরা জানাচ্ছে, আক আকসার ঘটনার পরই ওয়েস্ট ব্যাংকে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। অন্ততপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি রেড ক্রেসেন্টকে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানাচ্ছে, জেরুসালেমে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের উপর রবার বুলেট ব্যবহার করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাতেই ১২ জন আহত হন।

তাছাড়া বেথেলহেম ও জেনিন শহরেও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে বলে ওয়াফা জানিয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছিল, তারা আল আকসা চত্বর থেকে ৩৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইসরায়েলের ‘হারেৎস’ পত্রিকা জানিয়েছে, ‘রোজার নামাজের পর কয়েকশ মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে নিজেদের ব্যারিকেড দেওয়ার পর সংঘর্ষ হয়েছে৷ প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ মুসল্লিদের সরাতে থাকে৷ কিন্তু এক ডজনের মতো মুখোশ পরা মুসল্লি মসজিদের ভেতর থেকে যান৷ তাদের সরাতে দাঙ্গা পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷’

ফিলিস্তিন সংক্রান্ত মার্কিন অফিসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই পবিত্র শহরে, পবিত্র মাসে সহিংসতার কোনো স্থান থাকতে পারে না। তাদের আবেদন, সব পক্ষ যেন সংযত থাকে এবং শান্তি বজায় থাকে।

জর্ডন, মিশর, আমিরাতসহ আরব দুনিয়া ও মুসলিম দেশগুলি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। মালয়েশিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যা করেছে তা বেআইনি ও এবং ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন। তারা পবিত্র স্থানের মর্যাদাভঙ্গও করেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, আল-জাজিরা, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.