ভাজাপোড়া নয়, রমজানে হোক স্বাস্থ্যকর ইফতার

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় একটু ভাজাপোড়া দিয়ে মনের বাসনা পূরণ করে জিহ্বার এই স্বাদ মেটাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে শরীরের। বদহজম, এসিডিটি, পেট ফোলাভাব সহ ভুগতে হয় নানা সমস্যায়। এতে ব্যাঘাত ঘটে পরবর্তী দিনের রোজায়ও ।

তাই ডুবো তেলে ভাজা আলুর চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা না খেয়ে ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে পরবর্তী দিনের রোজাগুলোও ভালোভাবে পালন করা যায়।

‘রোজা ভেঙে এমন খাবার খেতে হবে যেন কোনোভাবেই এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা না হয়। এবার রোজা যেহেতু গরমের মধ্যেই পড়েছে, তাই এই সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা তেলের খাবার খেলে স্বাস্থ্যগত জটিলতা এড়ানো কঠিন। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে বা যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলার পরামর্শও দুয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

ইফতারের জন্য করা আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু ইত্যাদির পরিবর্তে আলু, বেগুন, ডাল ও অন্যান্য সবজি দিয়ে একটি মিশ্র সবজি রান্না করা যেতে পারে। এটি বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। এর সঙ্গে একটু ওটস বা চিড়া খেলে একটি ভারি খাবারও খাওয়া হয়। আর ক্যালরি কম হওয়ার কারণে ওজনও বাড়ে না।

এই সময় অনেকেই অতিরিক্ত কষিয়ে ছোলা রান্না করে খান। ছোলা শরীরে শক্তি দেয়। তবে অতিরিক্ত মসলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করলে এর খাদ্যগুণ নষ্ট হয়। এর বদলে সিদ্ধ ছোলার সঙ্গে শসা, লবণ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে, শরীরও সুস্থ রাখবে।

ইফতারের খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে দই, চিড়া, কলা। এগুলো ভারসাম্যপূর্ণ খাবার। এতে পেট ঠান্ডা থাকে; এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধ হয়।

এই সময় যেকোনো ফল চিনি ছাড়া শরবত বা জুস করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীর সতেজ থাকে। এ ছাড়া সব ধরনের ফল মিশিয়ে মিক্সড ফ্রুট তৈরি করেও খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।

ইফতারে শসার তৈরি রায়তাও রাখতে পারেন। শসাকে কুচি করে কেটে টক দই, অল্প একটু গোল মরিচ, পুদিনা পাতা, পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে রায়তা তৈরি করা যায়। এটি পেট ভরা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

স্যুপ খেতে পারেন। এতে যেমন পানির চাহিদা পূরণ হয়, তেমনি প্রোটিনও পাওয়া যায়। তবে বাজারের প্যাকেটজাতের বদলে ডিম, সবজি বা মুরগির মাংস দিয়ে ঘরেই তৈরি করে নিন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যুপ।

ভাজাপোড়া খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে দইয়ের লাস্সি বা বোরহানি। এতে পানিশূন্যতা পূরণ হবে; শরীরও ঠান্ডা থাকবে।

 

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.