অত্যাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির ট্যাঙ্ক পেল ইউক্রেন

জার্মানির অত্যাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির লিওপার্ড টু ও যুক্তরাজ্যের চ্যালেঞ্জার টু ট্যাঙ্ক হাতে পেয়েছে ইউক্রেন। জার্মানি ইউক্রেনকে লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুই মাস পর তা জেলেনস্কি হাতে পেলেন।

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনকে ১৮টি লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক দিয়েছে জার্মানি। এই অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক কীভাবে চালাতে হয়, ইউক্রেনের সেনাকে তার প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এই ট্যাঙ্ক যুদ্ধক্ষেত্রে বদল নিয়ে আসবে।’

এএফফি জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের চ্যালেঞ্জার টু ট্যাঙ্কও ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে এএফপি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘একবছর আগেও কেউ ভাবতে পারেননি, এভাবে বিভিন্ন দেশ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।’

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন আএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রসি। ঝাপোরিজ্বিয়া পরমাণু কেন্দ্রের কাছে বৈঠক হলো। ঝাপোরিজ্বিয়া শহরে সোমবার এই বৈঠক হয়েছে। এই শহর ইউক্রেনের দখলে থাকলেও ঝাপোরিজ্বিয়া পরমাণু কেন্দ্র গতবছর থেকেই রাশিয়ার সেনা দখল করে রেখেছে।

গ্রসি টুইট করে বলেছেন, ‘ঝাপোরিজ্বিয়া পরমাণু কেন্দ্র ও সেখানে থাকা কর্মীদের বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আবার ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রগুলি নিয়ে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ে বারবার এই পরমাণু কেন্দ্র খবরের শিরোনামে এসেছে। বহুবার গোলার আঘাতে এই পরমাণু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেছে। তখন কর্মীরা ব্যাক আপের জন্য রাখা ডিজেল জেনারেটর চালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরমাণু কেন্দ্র চালাচ্ছেন ইউক্রেনের কর্মীরা। আর রাশিয়ার সেনা তা দখল করে রেখেছে।

গ্রসি এই পরমাণু কেন্দ্রে আগে গেছেন। তিনি বলেছেন, এই পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে, শুধু ইউক্রেনে তার প্রভাব পড়বে তাই নয়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তার প্রস্তাব ছিল, এই পরমাণু কেন্দ্রের তারপাশে একটা প্রোটেকশন জোন তৈরি হোক। রাশিয়া যেভাবে কামান ও সেনাদের পরমাণু কেন্দ্রের ভিতরে রেখেছে তিনি তার ঘোর বিরোধী। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.