স্কুলে নারী বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৭

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ বছর বয়স্ক অড্রি হেল নামে এক তরুণীর এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে ওই তরুণীও প্রাণ হারান।

স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিলের দ্য কভেন্যান্ট স্কুলে হামলা চালায়। হামলাকারী ওই তরুণী এ স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলটি একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুল। যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হতো। স্কুলটিতে ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল, যাদের বয়স ১১-১২ বছরের মধ্যে।

বন্দুক হামলায় নিহতরা হলো-অ্যাভলিন ডিক হাউস (৯), হ্যালি স্ক্রাগস (৯), উইলিয়াম কিনি (৯), সিনথিয়া পিক (৬১), ক্যাথরিন কুইন্স (৬০) ও মাইক হিল (৬১)। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী ওই তরুণীর কাছে দুটি অ্যাসল্ট-টাইপ রাইফেল ও একটি পিস্তল ছিল। সোমবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে গুলির সংবাদ পায় পুলিশ। ওই তরুণী স্কুলে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে ওই নারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রে নারীর এমন গুলি চালানোর ঘটনা বিরল। ওই তরুণী কীভাবে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করেছিল তা এখনো জানা যায়নি। বন্দুক হামলার ঘটনা ১৪ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।

ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান জন ড্রেক বলেছেন, ‘বাচ্চাদের দেখে আমি চোখের জল সামলাতে পারিনি। আক্রমণকারী নারী ওই স্কুলেরই ছাত্রী ছিল। তার কাছে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই দিনের সঙ্গে ও স্কুলের কোনো ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগ ছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে।’

শহরের মেয়র জন ড্রেক বলেছেন, খুবই দুঃখের ঘটনা। পুরো শহর শোকপালন করছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন কংগ্রেসকে বলেছেন, ‘এবার অন্তত অস্ত্র আইন কড়া করা হোক।’ এ ঘটনাকে ‘পরিবারের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।

বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, ‘আর কতজন বাচ্চাকে এভাবে হত্য়া করা হবে, তারপর রিপাবলিকানরা উদ্য়োগী হবে এবং অ্যাসল্ট অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।’

কে-২ স্কুল ডেটাবেস জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে এখনো পর্যন্ত ৮৯ বার আমেরিকার স্কুলে গুলি চলেছে। যখনই কোনো স্কুল চত্বরে গুলি চলে, তখনই তা স্কুলে গুলির ঘটনা বলে চিহ্নিত করে এই সংস্থা।

গতবছর ৩০৩ বার স্কুলে গুলি চলেছিল। ১৯৭০ সাল থেকে এই সংস্থা হিসাব রাখছে। তাদের হিসাব বলছে, গতবছর সবচেয়ে বেশি স্কুলে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.