‘হারার ভয়ে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত’

পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ হলেও বাবর আজমদের দেশে খেলতে যাবে না ভারত। মূলত নিরাপত্তা ইস্যুতে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে পাঠাবে না ভারত।

এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে হওয়ার কথা এশিয়া কাপের এবারের আসর। তবে মাস কয়েক আগে বিসিসিআইয়ের সচিব ও এসিসির সভাপতি জানান, এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। ফলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটি।

যদিও সেই সিদ্ধান্তে খানিকটা বদল এসেছে। ইএসপিন ক্রিকইনফোর দাবি, পাকিস্তানের মাটিতেই হবে এবারের এশিয়া কাপ। তবে ভারতের ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কা, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা ইংল্যান্ডের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এমনকি ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথও হতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

এমনটা হলে নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানে যেতে হচ্ছে না ভারতকে। নাদির আলির পডকাস্টে ইমরান বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আপনি দেখুন, কতগুলো দল পাকিস্তান সফর করেছে। ‘এ’ দলের কথা বাদ দিন। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ পাকিস্তান সফর করেছে। এসব আসলে কেবলই অজুহাত। সত্যিটা হচ্ছে, ভারত পাকিস্তানে (এশিয়া কাপ খেলতে) আসবে না কারণ তারা হেরে যাওয়ার ভয় পায়। নিরাপত্তা কেবলই অজুহাত। আপনারা (ভারতকে উদ্দেশ্য করে) আমাদের এখানে আসুন এবং ক্রিকেট খেলুন। আপনি যখন রাজনীতি শুরু করবেন তখন সেখান থেকে ফিরে আসার আর সুযোগ নেই।’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ মিলে গতবার তিনটি ম্যাচ খেলেছে তারা। যেখানে প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। টিকিট ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মাঝেই তা শেষ হয়েছে। দর্শকদের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে এই দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও জানিয়েছিল মেলবোর্ন।

যদিও সেই প্রস্তাব ফলপ্রসূ হয়নি। ইমরান বলেন, ‘লোকেরা ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলা দেখতে চায়। কারণ এই ম্যাচকে ঘিরে আলাদা উত্তেজনা রয়েছে। সমগ্র বিশ্ব এটা জানে। এমন কী আমরা ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি যে, ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানোর জন্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়া দরকার। আমরা অনেক ক্রিকেট খেলতাম। ওরা এত ভারসাম্যপূর্ণ, তবে ভারত হার সহ্য করতে পারে না। এটা একটা খেলা। আপনি কিছু ম্যাচ জিতবেন, কিছু হারবেন’।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.