ধূমপায়ীর হারে বিশ্বে ৮ম বাংলাদেশ

বিশ্বে ধূমপায়ীর হারে বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে ধূমপায়ীর হার ৩৯.১০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৭.৭ শতাংশ নারী। ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ ধূমপায়ী নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ নাউরু।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডটকমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিকস।

তথ্য বলছে, ধূমপায়ী জনগোষ্ঠীর হারে নাউরুর পরই রয়েছে কিরিবাতি (৫২ শতাংশ)। ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ধূমপায়ী নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে টুভ্যালু।

শীর্ষ দশে বাংলাদেশের আগে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে মিয়ানমার (৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ), চিলি (৪৩ দশমিক ৭০ শতাংশ), লেবানন (৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ) এবং সার্বিয়া (৪০ দশমিক ৬০ শতাংশ)।

শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পরের স্থানে রয়েছে গ্রিস (৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ) এবং বুলগেরিয়া (৩৮ দশমিক ৯০ শতাংশ)।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ বলছে, সার্বিকভাবে ধুমপায়ীর হার বেশি পাওয়া গেছে এশিয়া ও ইউরোপের বলকান অঞ্চলে। পশ্চিম ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে এই হার সবচেয়ে কম।

এদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পুরুষদের মধ্যে ধূমপায়ীদের হার অনেক বেশি। সে তুলনায় নারীদের মধ্যে এই হার নগণ্য। যেমন, ইন্দোনেশিয়ায় পুরুষদের ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ ধূমপায়ী, নারীদের মধ্যে এই হার ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ৬০ দশমিক ৬০ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ আরও বলছে, সার্বিকভাবে বিশ্বে ধূমপায়ীর হার কমছে। উদাহরণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের কথা। ২০০০ সালে দেশটিতে ধূমপায়ীর হার ছিল ৩৮ শতাংশ। বর্তমানে তা ১৯ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা এবং ধূমপানবিরোধী প্রচারকেই তারা এর কারণ হিসেবে দেখছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.