ঢামেকে আরও ২ মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০

শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনা

মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে নারীসহ ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। মৃতাবস্থায় আনা ২ জনের বয়স আনুমানিক ৬০ ও ২৬ বছর। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ঢামেকে নিয়ে আসা আহতরা হলেন- বাসযাত্রী ফয়সাল আহমেদ (৩৬), আ. হামিম (৫০), বদরুদ্দোজা (৩০), পঙ্কজ কান্তিজ ঘোষ (৪০), ঝুমা (৩৪), বুলবুল (৫০), এনামুল (৪০)।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, এখন পর্যন্ত ৯ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফয়সাল আহমেদের বাড় ভাই শেখ তানভির আহমেদ জানান, তাদের বাড়ি খুলনা সদর উপজেলার মিনি সুপার ট্যাংক রোডে। খুলনায় এনসিসি ব্যাংকে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন ফয়সাল। খুলনা থেকে অফিসের কাজে সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি।

দুর্ঘটনাস্থলে থাকা শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ঢামেকে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ প্রাথমিকভাবে কিছু জানা গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি চালকের অবহেলার কারণে হতে পারে, অতিরিক্ত গতির কারণে হতে পারে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হতে পারে। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।’

ইমাদ পরিবহনের বাসটি আজ ভোর ৪টায় খুলনার ফুলতলা বাস কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১৮ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢামেকে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাসটিতে চালক ও ২ হেলপারসহ মোট ৪৬ জন ছিলেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.