রাশিয়া থেকে যুদ্ধবিমান কিনছে ইরান

নানা ধরনের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে থাকা ইরানের বিমানবহর বেশ পুরাতন৷ অবরোধের কারণে নতুন যুদ্ধবিমান তো বটেই পুরাতন বিমানের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনাটাও ইরানের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছিল৷

অন্যদিকে রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অবরোধের মুখে পড়েছে৷ ফলে একদিকে এমন চুক্তি ইরানের জন্য যেমন অবরোধ এড়িয়ে সামরিক শক্তি আরো বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ হিসাবে হাজির হয়েছে, রাশিয়াও পশ্চিমো রাষ্ট্রগুলোকে এড়িয়ে খুঁজে নিতে পারছে সামরিক ভাণ্ডারের নতুন বাজার৷

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এ বিষয়ে ইরান সরকারের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া জানিয়েছে, তারা বিমানগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত৷’ জাতিসংঘের ২২৩১ রেজল্যুশন অনুযায়ী অস্ত্র কেনায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের অক্টোবরেই৷

কেবল সামরিক নয়, অন্য নানা খাতেই গত বছর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইরান৷ ইরান রাশিয়াকে শাহেদ-১৩৬ ‘কামিকাৎজে’ ড্রোন সরবরাহ করেছে৷ গত বছর ইউক্রেন অভিযোগ করে, এসব ড্রোন ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার কাজে রাশিয়া ব্যবহার করছে৷ তবে ইরান এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে৷

ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি গত ডিসেম্বরেই ‘রাশিয়া ইরানের কাছে ফাইটার জেট বিক্রি করতে পারে’- এমন তথ্য জানিয়েছিলেন৷

তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানের পাইলটরা সুখোই বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ এই বিমান পেলে ইরান তার ‘প্রতিবেশীদের তুলনায় আকাশ যুদ্ধে তুলনামূলক শক্তিশালী হয়ে উঠবে’ বলেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন কিরবি৷

এখন ইরানের বিমানবহরে যে মিগ এবং সুখোই বিমানগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগই সোভিয়েত আমলের৷ এফ-সেভেন সহ কিছু চীনা বিমান এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগের কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমানও (এফ-ফোর এবং এফ-ফাইভ) ইরানের কাছে রয়েছে৷

পরমাণু চুক্তি থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একতরফা যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরিয়ে নেওয়ার পর ২০১৯ সালে আবারও ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.