আমার সময় শেষ, এটা কামিন্সের দল: স্মিথ

ভারতের স্পিন-স্বর্গে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো বিভাগেই ভারতের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছিলেন প্যাট কামিন্সরা। তবে নেতৃত্ব পরিবর্তন হতেই বদলে গেল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বে মাত্র সোয়া দুইদিনে রোহিত শর্মার দলকে হারিয়েছে সফরকারীরা।

নাগপুর ও দিল্লি টেস্টে হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরেন কামিন্স। মূলত মায়ের অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে। এদিকে চোটের কবলে পড়ে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের দল থেকে ছিটকে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পেস ত্রয়ীর অন্যতম সদস্য জস হেজেলউডও নেই। সব মিলিয়ে নিজেদের সেরা শক্তির দল ছাড়াই খেলতে হচ্ছে অজিদের।

এমন সময় কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বভার এসে পড়ে স্মিথের কাঁধে। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে অল আউট করার পর ভারতকে পরের ইনিংসে অজিরা থামিয়েছে ১৬৭ রানে। মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে এক উইকেট হারিয়ে। পুরো ম্যাচে ভারতের ব্যাটারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছিলেন ম্যাথু কুনেমান ও নাথান লায়নরা।

সবশেষ ১৮ মাসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি টেস্ট মিস করেছেন কামিন্স। সবকটিতে নেতৃত্ব দিয়ে অজিদের জয় এনে দিয়েছেন স্মিথ। ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে তার সময় শেষ হয়ে গেছে। স্মিথ বলেন, ‘আমার সময় শেষ হয়ে গেছে। এটা এখন প্যাটের (কামিন্সের) দল।’

অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর জন্য ভারতের কন্ডিশন বরাবরই কঠিন। বেশিরভাগ দলই এখানে এসে নাকানিচুবানি খেয়ে থাকে। অথচ ভারতের এমন কন্ডিশন বড্ড বেশি পছন্দ স্মিথের। অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘এই কন্ডিশনে আমি অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। কারণ, আমি কন্ডিশনটা বেশ ভালো বুঝি। এখানকার কন্ডিশনটা দুনিয়ার অন্য যেকোনো জায়গা থেকে আলাদা। প্রতিটি বলই যেন এক একটি ইভেন্ট। এখানে একটি বল পরের বলকে প্রভাবিত করতে পারে। আমি ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করি। এই সপ্তাহটা দারুণ উপভোগ করছি।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.