তামিম-লিটনের পর ফিরলেন মুশফিক-সাকিব

একপ্রান্তে তামিম ইকবাল রান তুলতে থাকলেও ইংল্যান্ডের বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছিল লিটন দাসকে। ১৩ বলে মাত্র এক রান সংগ্রহ করলেও ক্রিস ওকসের বুক বরাবর আসা বাউন্সার পুল শটে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপমুক্ত হন লিটন। কিন্তু স্কোয়ার লেগে ৮৫ মিটার ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই এই ব্যাটারকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন ইংলিশ এই পেসার।

ওকসের স্ক্যাম্বেল্ড সিমে ফেলা ডিলেভারিটি সোজা এলেও লাইন মিস করেন লিটন। পড়েন লেগ বিফরের ফাঁদে। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি শেষ পর্যন্ত। পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়ে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

শান্তকে চাপে ফেলতে জোফরা আর্চারের ওভারে ফিল সল্টকে শর্ট লেগে নিয়ে আসেন জস বাটলার। সঙ্গে রাখেন দুটি স্লিপ সহ, গালি ও পয়েন্টে ফিল্ডার। তাতে সফল হতে হতেও হয়নি ইংল্যান্ড। জোফরাকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। কিন্তু এই ইংলিশম্যানের দুর্দান্ত চেষ্টা হয় ব্যর্থ, হাত থেকে বল পড়ে যায় মাটিতে। জীবন পান শান্ত। সঙ্গী জীবন পেলেও পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আউট হন তামিম। মার্ক উইডের ভেতরে আসা গতিময় ডেলিভারিতে ইনসাইজড এজে বোল্ড হন বাংলাদেশ দলপতি। ২০২১ সালের পর ওয়ানডেতে এটই এই ইংলিশ পেসারের প্রথম উইকেট।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন মুশফিক-শান্ত জুটি। ৪৪ রানও যোগ করেন তারা। ২০তম ওভারে এই জুটি ভেঙেছেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। এর আগে ক্যাচে জীবন পেলেও ২০তম ওভারে মুশফিকের আর শেষ রক্ষা হয়নি। স্লগ সুইপ খেলতে গেলে বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় বাতাসে। দৌড়ে এসে তা লুফে নেন উড। ফেরার আগে মুশফিক ৩৪ বলে ১৭ রান করেছেন। তাতে ছিল একটি ছয়।

মুশফিকের বিদায়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙার পর শান্তর যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি সাকিব। মঈন আলীর স্পিনে পরাস্ত হয়ে দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন। সুইপ করতে গিয়ে ৮ রানে বোল্ড হয়েছেন বামহাতি অলরাউন্ডার। তার ১২ বলের ইনিংসটি ছিল ১ চারে সাজানো।

৩০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩০ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.