স্কুল বন্ধ করতে ছাত্রীদের শরীরে বিষ

তেহরান থেকে সামান্য দূরে ইরানের কম শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। কমের পার্শ্ববর্তী একটি শহরের স্কুলেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ তথ্য জানিয়ে দেশটির ডেপুটি শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেন, এক শ্রেণির মানুষ মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতে চান। সে কারণেই তারা মেয়েদের স্কুলে বিষ ছড়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। এক ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মেয়েদের ফুসফুসে বিষের চিহ্ন মিলেছে। তবে স্বস্তির কথা হলো, যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ভয়াবহ নয়। যে মেয়েদের দেহে ওই রাসয়নিক মিলেছে, তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল।

স্থানীয় গভর্নর, পার্লামেন্টে হেলথ কমিটির এক সদস্যও ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। বস্তুত, গত ডিসেম্বর থেকে একাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে বহু ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কমের পার্শ্ববর্তী শহরে গত এক সপ্তাহে ৫০ জন ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। কমেও বহু ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

ঘটনার কথা স্বীকার করলেও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতেই যে এই চক্রান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

গত কয়েকমাস ধরে তুমুল আন্দোলন চলছে ইরানে। জেলে এক নারীর মৃত্যুর পর থেকে আন্দোলন তীব্র হয়। বহু নারীকে জেলে ভরা হয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, ইরান ইন্টারন্যাশনাল, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.