মাশরাফিদের বিপক্ষে মাইন্ড গেমে জিততে চান ইমরুল

বিপিএলের সবশেষ তিন আসরের দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা। এর আগে ২০১৫ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আরও একবার শিরোপার খুব কাছে তারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কুমিল্লা। বিপিএলের এবারের আসরে সিলেটের বিপক্ষে নিজেদের তিন দেখায় শেষ দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ইমরুলের দল। আগে বোলিং করলে ইমরুলের লক্ষ্য সিলেটকে ৫০ রানে অল আউট করা এবং আগে ব্যাটিং করলে দুইশর চেয়ে বেশি রান করা।

যদিও বাইশ গজে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে ব্যাটে-বলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের লড়াই করতে হয়ে মানসিকভাবেও। বিশেষ করে বড় ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চাপ সামলানোর দক্ষতা। বিপিএলের ফাইনালে তাই মাইন্ড গেমের দিকে চোখ ইমরুল কায়েসের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি তো চাইবো যদি ওদেরকে ৫০ রানে অল আউট করতে পারি ভালো। যদি ব্যাটিং দল হই আমি তো চাইবো দুইশর বেশি রান করতে চাইবো। এটা তো আসলে চাওয়াতেই সব কিছু হবে না। কালকের খেলাটা পুরোটাই আসলে মাইন্ড গেম। হাইভোল্টেজ খেলাগুলো আসলে যে যত বেশি নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, যে যত বেশি নিজেকে কাম রাখতে পারবে আমার মনে হয় তাদের দল তত বেশি ভালো হবে। কারণ আপনি দুইশ রান করেও জিতবেন এমন গ্যারান্টি নেই। সবশেষ ফাইনালে কিন্তু আমরা অলমোস্ট ১৮ ওভার পর্যন্ত আমরা হেরেছিলাম। ২ ওভারে আমরা খেলা জিতে গেছি। এটা ডিফরেন্ট বল গেম। মাঠে যত বেশি কাম থাকা যায়।’

এদিকে বিপিএলের এবারের আসরে তিনবারের দেখায় দুবার আগে বোলিং করেছে কুমিল্লা। সেই দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। অনুমেয়ভাবেন ফাইনালেও আগে বোলিং করতে চাইবে দলটি। যদিও এসব নিয়ে ভাবছেন না ইমরুল। কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, আমাদের দল তো সেটআপ হয়ে গেছে। আগে ব্যাটিং করি বা পরে ব্যাটিং করি এটা নিয়ে আমাদের ম্যাটার করে না। কারণ আমরা কাকে কখন বোলিং করাবো এটা ম্যাটার করে। শিশির থাকলে শুরুতে যে বোলিং করবে বা শেষে যে ফিল্ডিং করবে… এই জিনিসটা আসলে পুরোটা আমাদের ওপর নির্ভর করে। দুই দলেরই বোলিং শক্তিশালী আমি মনে করি। দুই দলের বোলিং শক্তিশালী না হলে তো ফাইনাল খেলতে পারতো না। এই সিদ্ধান্তটা আসলে মাঠেই হয়। এখানে বলা কঠিন।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.