বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ডিএসইর ৬ প্রস্তাবনা

আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য ৬ দফা সুপারিশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের উপর কেটে রাখা উৎসে করতে চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশে আয়কর ২০ শতংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, এসএমই বোর্ডের কোম্পানিগুলোকে ৫ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রদানের সুযোগ।

আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট বৈঠকে ডিএসইর পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েোছে।  চেয়ারম্যানের কাছে ৫টি সুপারিশ জানিয়েছে এনবিআর-ডিএসইর প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।
ডিএসইর বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ বছরের কর ছাড়, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা, লভ্যাংশে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাজেট প্রস্তাবনায় দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এই কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ।

বর্তমানে ব্যাংক-বীমা, টেলিকম ও তামাক খাতের কোম্পানি ছাড়া তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলোেকে ২০ শতাংশ হারে আয়-কর দিতে হয়। ডিএসই এই কর-হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলিকে তাদের আর্থিক এবং কর্পোরেট শাসনের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে পারলে মোট রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। কম করের হার বহুজাতিক এবং ভালো মানের কোম্পানিগুলোকে এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানির তালিকাভুক্তির সময় থেকে ৫ বছর পর্যন্ত করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।

ডিএসইর প্রস্তাবনায় সুকুকসহ সব ধরনের বন্ডের মুনাফা বা সুদ আয়কে কর অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে্ বর্তমানে শুধু জিরো-কূপন বন্ডে করমুক্ত সুবিধা আছে।
ডিএসইর অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে আছে স্টক ডিলারদের ক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফা কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.