ইনকাম ট্যাক্স বাড়লে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়ানো সম্ভব: পিআরআই

ইনকাম ট্যাক্স সঠিক ভাবে সংগ্রহ করতে পারলে দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি ব্যয় করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে আয় ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে বলে জানিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআইবি)।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) পিআরআই আয়োজিত ‘ইমপ্লিকেশন অব আইএমএফ লোন কন্ডিশন অন ডমেস্টিক রেভিনিউ মবিলাইজেশন’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আইএমএফ বাংলাদেশের ডমেস্টিক রেভিনিউ মবিলাইজেশন নিয়ে অনেকগুলো শর্ত দিয়েছে। একইসাথে ট্যাক্স-জিডিপি ধারাবাহিকভাবে বাড়াতে বলা হয়েছে। বর্তমানে এই রেশিও ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। শর্ত অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন শেষে দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করতে হবে। পরের বছর ২০২৫ সালে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও আরও দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ করতে হবে। ২০২৬ সালে দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।

রেভিনিউ আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি মনযোগী হতে হবে বলে জানিয়েছে পিআরআই। বক্তারা বলেন, আইএমএফের দেওয়া সংস্কারগুলো চলতি বছর থেকেই শুরু করতে হবে। সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সংস্থাটিকে জানাতে হবে।

পিআরআই জানায়, সরকার আইএমএফকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ট্যাক্স বাড়ানোর জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে ১ কোটি লোককে টিন এর আওতায় আনার কথা বলছে সরকার। একইসঙ্গে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩০ হাজার ইলেকট্রনিকস যন্ত্র দিতে চায়। এরফলে ১০৫ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আসবে বলে মনে করছেন সরকার।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.