সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

গ্রেফতারের চার দিন পর কথিত বন্দুকযুদ্ধে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি নিহত হয়। এমন অভিযোগ তুলে ওই ঘটনায় আট বছর পর ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ) আইন মামলার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত জনির পিতা ইয়াকুব আলী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

মামলার আবেদনে অপর আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবি রমনা জোনের এস আই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার- হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক-ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এস আই- শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন। ঘটনার সময় প্রত্যেকেই ডিএমপি দক্ষিণ জোন ডিবিতে কর্মরত ছিলেন।

বাদীপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ ও হান্নান ভুইয়া। অপর দিকে ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলাটি গ্রহণ না করতে শুনানিতে বিরোধিতা করেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার আট বছর পর মামলা করতে আসা মানে রাজনৈতিক ফায়দা আছে। এতদিন তারা মামলা করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।’

২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। এর চারদিন পর (২০ জানুয়ারি) কথিত বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.