মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজরদারি ও মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণার কারণে মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তার প্রশ্নে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা প্রায় ১৯ লাখ থাকার বিষয়টি সত্য কি না এবং মাদক নির্মূলে সরকারের উদ্যোগ জানতে চান। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা ১৯ লাখের বেশি, এটি সত্য নয়। এটি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার। দেশে মাদকের অবাধ প্রবেশের সুযোগ নেই। সীমান্তে বিজিবিসহ দেশের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদকের প্রবেশ ও অব্যবহার রোধ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত অভিযান, মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্স অভিযান পূর্বের চেয়েও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব সংস্থা ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের ব্যাপক কর্মতৎপরতার কারণে মাদক অপরাধীদের গ্রেফতার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মাদকদ্রব্য উদ্ধারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করতে এবং ঢাকায় নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.