সাকার ফিশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

খুব দ্রুত বংশবিস্তার করা ক্ষতিকর সাকার ফিশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০–এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে লিখিতভাবে অনধিক দুই মাসের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মৃনাল কান্তি দে-কে জানানোর জন্য বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, দুই মাস সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের উপর পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে সরকার এ রুলসের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ করতে পারবেন না।

সাকার মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ইপসতোমুস প্লেকসতোমুস’। মূলত এটি অ্যাকুরিয়াম পালন করা হয়। প্রধান খাবার জলজ পোকামাকড় ও জলজ শ্যাওলা। তবে ছোট মাছ, পোনা ও মাছের রেনুও খেয়ে থাকে তারা। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতির প্রভাব ফেলে সাকার সাকার মাছ। এ ছাড়া সাকার মাছের শরীর খুব শক্ত ও পাখনা খুব ধারালো। এ মাছের আঘাতে অন্য মাছের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয় ও এর বিষে মাছগুলোতে পচন ধরে মরে যায়।

সাকার মাছ দেশীয় মাছের জন্য বড় হুমকি বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার করে আসছিল মৎস্য অধিদপ্তর। তুলে ধরা হয় সাকার মাছের ক্ষতিকর দিক।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.