কৃষি খাতে লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ ঋণ বিতরণ

করোনার ভাইরাসের পরে ঘুরে দাড়াতে শুরু করে দেশের অর্থনীতি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাদ যায়নি দেশের সার্বিক অর্থনীতিও। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে মনযোগ বাড়িয়েছে সরকার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে বিতরণ করা হয় ৫১ দশমিক ০৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৮ কেটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। এছাড়া আট বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৭১ কোটি টাকা।

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। করোনা মহামারি ও বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কৃষির গুরুত্ব ব্যাপকহারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সচেষ্ট রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ দশমিক ০১ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে সরকারের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছিলো ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৫২ দশমিক ০৪ শতাংশ। আগের একই সময়ে বিতরণ করেছিলো ৪৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

বৈশ্বিক খাদ্য অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্যের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশনা রয়েছে। এ জন্য কৃষি ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। এসব কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষি ঋণ বিতরণ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.