‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতরা সক্রিয় হয়ে উঠে’ 

নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত’সহ অতি বাম-অতি ডানপন্থিরা ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু উচ্ছিষ্টভোগী অতি বামপন্থি, অতি ডানপন্থি, যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, নির্বাচন এলেই তারা ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশে যে স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে এবং দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না।

ক্ষমতায় থাকতে মাদক বিএনপির একটি অস্ত্র ছিল অভিযোগ করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এদেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে এই বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তোলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের ওপর রাগ আর ক্ষোভ। এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিএনপি সবসময়ই চেয়েছে দেশ ধ্বংস হয়ে যাক।

আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক; বিশ্বের বুকে বাঙালির পরিচয় হোক উন্নত সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.