বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন। আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমান সহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঢাকা, মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা প্রধান তার সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিচ তলার তালা ভেঙে এবং পাশে স্বচ্ছ কাঁচ দ্বারা আচ্ছাদিত সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং ম্যুরালটির বাম চোখের অংশ লোহার সাবল দিয়ে আঘাত করে চোখে পরিহিত কালো সান গ্লাসটি ভেঙে ফেলে। পরে আসামিরা ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে এবং সেখানে মেইন দরজার তালা ভেঙে অবৈধভাবে ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রথমেই ডান দিকে থাকা বিএনপির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, ‘হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের কক্ষে টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলে এবং একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মেশিন ডাকাতি করে নেয়। যার মূল্য ১ লাখ টাকা। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্ষের ডান দিকের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে, টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সোফাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। ২য় তলা উত্তর দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষের ডান দরজা আসামিরা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ১টি কম্পিউটার, একটি এলইডি টিভি ও দুটি রাউটার যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা।’
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.