দারিদ্রসীমা ৪০ থেকে ২১ শতাংশে এনেছে সরকার: স্পিকার

সরকার দেশের দারিদ্রসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে এনেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের দারিদ্রসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে এনেছে সরকার। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। দারিদ্রসীমার নিচে যারা বাস করছেন, তাদের নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আগামীতে মাতৃতকালীন, বিধবা, নারী, প্রতিবন্ধী, শিক্ষা ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা বাড়ানো হবে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচন অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যে উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। দেশের ব্যাংকিং সেবার ভেতরে কিভাবে কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে লক্ষ্যেই এ পরিকল্পনা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বেশি নারী। নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যক্রম করছে। তাদের দক্ষতার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা। নারীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে আনছে সরকার। ই-কমার্স অনলাইনের মাধ্যমেও নারীরা কিভাবে ব্যবসা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান সরকার একটানা ক্ষমতায় রয়েছে। এরমধ্যে দারিদ্রের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ছিন্নমূল মানুষ, নারী ও শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দেসহ অন্যরা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.