দেশের রিজার্ভ আরও কমেছে

বিশ্ব অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এক বছর আগে থেকেই চলছে ডলার সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ৪ হাজার ৫২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় রিজার্ভ কমেছে ১ হাজার ২৭২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

এদিকে সদ্য বিদায়ী বছরের জুন মাস শেষে রিজার্ভ ছিলো ৪ হাজার ১৮২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। বছর শেষে ডিসেম্বরে এর পরিমাণ আরও কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৭৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেই হিসেবে চলতি মাসের ১৮ দিনে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার কমেছে ১২৬ কোটি ৮১ লাখ। এছাড়া গত রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ ছিলো ৩ হাজার ২৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ শেষ দশ দিনে কমেছে ১০ কোটি ডলার।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী, বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। সংস্থাটির মানদণ্ড অনুসারে, দেশের মজুদকৃত রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং রিজার্ভ থেকে দেশীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যয় বাদ যাবে। তবে সরকার এখন আইএমএফ এবং নিজস্ব অর্থাৎ দুই ধরনের হিসাবই রাখছে।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। আর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। করোনার প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে থাকে দেশের অর্থনীতিতে। ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

অন্যদিকে রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আইএমএফ’র তহবিল থেকে সাড়ে ৪ দশমিক ৫ বিরিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইএমএফ’র ঋণ আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.