ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে

ইরানে বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আগামী সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো জানানো হতে পারে৷

এদিকে, ইরানের রেভুলুশনারি গার্ড আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বুধবার ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা৷

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে আটক থাকা অবস্থায় মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সম্প্রতি চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে৷

বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়৷ ৫৯৮ জন সাংসদ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন৷ বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র নয়টি৷ ৩১ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন৷

অবশ্য ইইউ পার্লামেন্টের ভোটের এই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ কারণ বিষয়টি ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের ঐকমত্যের উপর নির্ভর করে৷ এর আগেও আইআরজিসিকে ইইউর সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তা করা হলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে, এই যুক্তিতে সেটি করা হয়নি৷

২০১৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷ ব্রিটেনও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে আইআরজিসিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইইউর চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে৷ এছাড়া ইইউতে থাকা সংগঠনের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে৷ ইইউর নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইআরজিসিকে অর্থ সহায়তাও দিতে পারবে না৷ আইআরজিসির বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়াকে ড্রোন দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে৷

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আইআরজিসি গঠন করা হয়৷ এটি ইরানের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে৷ আইআরজিসির সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী আছে৷ আইআরজিসির সদস্যসংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানা না গেলেও তা অন্তত আড়াই লাখ হতে পারে৷ সূত্র; ডিডাব্লিউ, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.