বিএনপির জন্য আরো খারাপ খবর আছে: ওবায়দুল কাদের

'হতাশা থেকে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন'

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে ও হতাশা থেকে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির আসল নেতাগুলো হাসপাতালে আর পাতিনেতারা বলছে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। অথচ আন্দোলনের সাগরের উত্তাল তুলে নদীর ঢেউও তুলতে পারলো না।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১০ জানুয়ারি) উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব অসুস্থ, মির্জা আব্বাস অসুস্থ, মার্কিন সরকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনে তারা বিষবর্ণ। আসলে কি অসুস্থ? নাকি রাজনৈতিক অসুস্থ? তারপর শুনি মান্নান সাহেব হাসপাতালে, আ স ম রব ভাইও হাসপাতালে, হাসপাতালে কি হতাশা থেকে অসুস্থ হয়ে গেছেন?

বিএনপির জন্য আরো খারাপ খবর আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫৪ দল, ৫৪ মত, ৫৪ পথ। ফখরুল নেই, মির্জা আব্বাস হাসপাতালে এখনো পাতি নেতারা কথা বলছে। এক পাতি নেতা বলেছে, সরকার হটাবেন আন্দোলনের সুনামী দিয়ে। হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল। আন্দোলন করলেন ১৫ বছর ধরে, আন্দোলনে নদীর ঢেউ পেলাম না। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ তো দেখিনি। যারা ঢেউ বানাতে পারেনি রাজপথে, এখন সেই আন্দোলনেও মানবিকতা চেয়ে কতদিন টিকবে বলা মুশকিল। আন্দোলনের ঘরে এখন আবার হতাশা নেমে এসেছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবকিছু ছেড়ে দিয়ে সরকারের পরিবর্তন যদি চান নির্বাচনে আসুন। আমরা যারা সরকারে আছি, এই সরকার হবে রুটিন সরকার। এই সরকার নির্বাচনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না। হোম মিনিস্টারের যে কাজ সেই কাজ তখন নির্বাচন কমিশন করবে। পুলিশের লোকজনকে ট্রান্সফার, প্রমোশন দেওয়া, এসব কাজ তখন হোম মিনিস্টার করবে না, করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, হতাশায় বিএনপির বাজার ভেঙে যাচ্ছে, বিএনপির জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে, এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোথাও নেই, অহেতুক তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান, আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসে না। অস্বাভাবিক আবদার পরিবর্তনে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণেই নির্বাচন কমিশন চায় না বিএনপি।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.