সাকিব-বিজয় ও সোহানের জরিমানা হচ্ছে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মাঠের বিতর্ক নতুন কিছু নয়। সোমবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দেন সাকিব। ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন বরিশালের এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গা ডি সিলভা। সে সময় বাঁহাতি এই ব্যাটার স্ট্রাইক প্রান্তে গেলে তখন বোলিংয়ে আসেন শেখ মেহেদি হাসান। যা দেখে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে বরিশাল। সেসময় প্রথম বল খেলার সিদ্ধান্ত নেন বিজয়। তাদের এমন পরিবর্তন দেখে মেহেদিকে সরিয়ে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। রংপুরের এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে চটে যান সাকিব।

ফলে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। সাকিব মেহেদির বিপক্ষে বিজয়কে ব্যাটিংয়ে চাচ্ছিলেন। তবে সেটার অনুমতি দিচ্ছিলেন না আম্পায়াররা। ফলে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে দুই ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসতে বলেন সাকিব। বিজয় আর চতুরঙ্গা সেটা না করলে নিজেই মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব।

এদিকে মাঠে অসদাচরণের জন্য শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান, এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান সোহান। দুই দলের অধিনায়ক এবং ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষককে ম্যাচ প্রতি পারিশ্রমিকের ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শাস্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা।

যদিও ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদি মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান বিষয়টি খোলাসা করেন। সোহান শিকার করে নেন তিনি কেন বার বার বোলার পরিবর্তন করছিলেন। এছাড়া আম্পায়ারের কাছ থেকে এই নিয়ম নিয়ে কোন দিক নির্দেশনা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় বলে জানান রংপুর অধিনায়ক। এরপর খানিকক্ষণ তর্কাতর্কি হয় আম্পায়ারের সঙ্গে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হলে খেলা আবারও শুরু হয়। এদিকে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হন এনামুল হক বিজয়। মাঠেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও শেষ পর্যন্ত জোর করেই মাঠ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার। এসবের জের ধরেই শেষ পর্যন্ত ৩জনকেই শাস্তি দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.