চাকরিচ্যুত দুদকের শরীফের আপিল শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিন চৌধুরীর রিটের শুনানি (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে তার করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে, আপিল আবেদনকারী শরীফ উদ্দিন চৌধুরীর রিটের পক্ষে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে লিখিত যুক্তি-তর্ক জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল আদালত।

আদালতে আজ শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন দোলন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এর আগে ২০২২ সালের জুনে শরীফ উদ্দিনের রিটের শুনানি (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

গত বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন শরীফ উদ্দিনের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন দোলন। ওইদিন দুদকের সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, শরীফ লিভ টু আপিল করেছেন। তার আবেদনের কপি আমরা পেয়েছি।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরিচ্যুত করা হয় শরীফ উদ্দিনকে। তখন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ’র সই করা আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা- ২০০৮ এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মো. শরীফ উদ্দিন (উপ-সহকারী পরিচালক) দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যক্রম, পটুয়াখালীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

নানাভাবে হয়রানি, বদলির পর শেষপর্যন্ত চাকরি হারান চট্টগ্রামের সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনের আলোচিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন। বিধিমালা ভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করে দুদক। পরদিন এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ ২১ জেলার দুদক কর্মকর্তারা নজিরবিহীনভাবে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করেন। এছাড়া হঠাৎ করে এই কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা তৈরি হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.