বছরজুড়ে ডিএসইর সূচক ও লেনদেনে বড় পতন

কোভিড ১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে বিশ্বের পুঁজিবাজারের মতো বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের গতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে৷  বিদায়ী বছরে ডিএসইতে মূল্য সূচকের সাথে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য বছরে ডিএিইর গড় লেনদেন কমেছে ৩৪.৮৬ শতাংশ।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ডিএসইতে ২৪৪ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২১ সালে ডিএসইতে ২৪০ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।

বিদায়ী বছরে কমেছে ডিএসর গড় লেনদেনের পরিমাণ। ২০২২ সালে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৯৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২১ সালে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ডিএসইর গড় লেনদেন কমেছে ৫১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ৩৫ শতাংশ।

মূল্য সূচক

বছরজুড়ে ডিএসইর মূল্য সূচকও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের বছরের চেয়ে ৫৪৯.৮৫ পয়েন্ট বা ৮.১৪ শতাংশ কমে ৬২০৬.৮১ পয়েন্টে দাঁড়ায়৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ কার্যদিবস ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার ৭৫৬.৬৫ পয়েন্টে।

২০২২ সালে ডিএসইএক্স মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ৭১০৫.৬৯ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৫৯৮০.৫১ পয়েন্ট৷

ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই ৩০ সূচক (ডিএস৩০) ৩৩৭.২৮ পয়েন্ট বা ১৩.৩২ শতাংশ কমে ২১৯৫.৩০ পয়েন্টে দাঁড়ায়৷ ২০২১ সালের শেষ কার্যদিবস ডিএসই-৩০ সূচক ছিল দুই হাজার ৫৩২.৫৮ পয়েন্টে।

২০২২ সালে ডিএস৩০ মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ২৬৩৫.৩৮ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ২১৪৫.২৫ পয়েন্ট৷

একই বছর ডিএসইএক্স শরীয়াহ্ সূচক (ডিএসইএস) ৭২.২৯ পয়েন্ট বা ৫.০৫ শতাংশ কমে ১৩৫৮.৮৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়৷ ২০২১ সালের শেষ কার্যদিবস ডিএসই শরিয়াহ সূচক ছিল এক হাজার ৪৩১.১২ পয়েন্টে।

২০২২ সালে ডিএসইএস মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ১৫২২.৯৮ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ১৩০৮.২০ পয়েন্ট৷

 

অর্থসূচক/সাদিয়া/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.