ব্রিসবেন টেস্টের সবুজ উইকেটে প্রথম দিন থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন পেসাররা। প্রথম দিনেই পড়ল ১৫ উইকেট! আগে ব্যাটিং করে সাউথ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে সবগুলো উইকেট হারিয়ে করেছে ১৫২ রান। জবাবে পাঁচ উইকেটে ১৪৫ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ৭ রানে।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। দলটির টপ অর্ডারের সঙ্গে রীতিমতো সহজ খেলায় মাতেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। শুরুতে ডিন এলগারকে ফিরিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। ব্যক্তিগত ৩ রানে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক। এর কয়েক ওভার পর ফিরে যান র্যাসি ভ্যান ডার ডাসেনও।
১২ বলে ৫ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে ক্যারিকে ক্যাচ দেন তিনিও। দলীয় ২৭ রানে ডাসেনকে হারানোর পর একই সাথে আরও দুই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ৩৭ বলে ১০ রান করা ওপেনার সারেল এরউয়েকে ফেরান স্কট বোল্যান্ড। এক বল পর খায়া জন্ডোকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তারপর ৯৮ রানের জুটি গড়েন টেম্বা বাভুমা এবং কাইল ভেরাইনি। দলীয় ১২৫ রানে ফিরে যান বাভুমা। ৭০ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি।
তারপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন নাথান লায়ন। অজি এই স্পিনার প্রথমে ফেরান মার্কো জানসেনকে (২)। ৯৬ বলে ৬৪ রান করা ভেরাইনিকেও স্পিন ফাঁদে ফেলেন তিনি। শেষদিকে ১৮ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন কাগিসো রাবাদা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্টার্ক এবং লায়ন। দুটি করে উইকেট নেন বোল্যান্ড এবং কামিন্স।
২৭ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়েছিল সাউথ আফ্রিকা, ব্যাটিংয়ে নেমে সেই ২৭ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এই ইনিংসের প্রথম বলে রাবাদার বলে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার (০)। উসমান খাওয়াজা ও মারনাস ল্যাবুশেনও তেমন কিছু করতে পারেননি। দুজনই করেন ১১ রান। খাওয়াজাকে অ্যানরিখ নরকিয়া ও ল্যাবুশেনকে জানসেন বিদায় করেন। এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ ও ট্র্যাভিস হেড।
৬৮ বলে ৩৬ রান করা স্মিথকে শেষ বিকেলে বোল্ড করেন নরকিয়া। তারপর চটজলদি বিদায় নেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা বোল্যান্ডও। রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন বোল্যান্ড। ১৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৭ বলে ৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন হেড।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.