৫১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের সূচনা করে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে বাকি দুদিন স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ৩০৬ রান।
প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক হাঁকিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ কারণে দারুণ সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সেই ধারা থেকে বের হয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তৃতীয় দিনে ভালো শুরুর পর চতুর্থ দিনও বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই দিন শুরু করেছেন তিনি। দারুণ খেলতে খেলতে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে কাঙ্খিত হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত। তার সঙ্গে সমানতালে ব্যাট চালাচ্ছেন জাকির হাসান।
শান্তর পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জাকির হাসানও। অভিষেক টেস্টেই ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। লাঞ্চ থেকে ফিরেও ভালো খেলছিলেন শান্ত। কিন্তু বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে তাকে ফেরান উমেশ যাদব। দারুণ সেই ডেলিভারিটি শান্তর ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে চলে যায়। ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। তার হাতে বল লেগে সেটা উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের দিকে আসে। পান্ত শুন্যে পড়ার আগেই বলটি লুফে নেন। শান্তর ১৫৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার। উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ১২৪ রান, টেস্টে ভারতের বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ।
শান্তর উইকেট যাওয়ার পর থিতু হতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটার। ১২ বলে ৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন তিনি। ১৩১ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন জাকির।
জাকির-লিটনের ৪২ রানের জুটিটি ভাঙেন কুলদিপ যাদব। কুলদিপের বলে লং অনে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে এক করতে পারেননি লিটন। ফলে উমেশ যাদব সহজ ক্যাচে তার বিদায় নিশ্চিত করেন। ফেরার আগে ৫৯ বলে ১৯ রান করেন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন জাকির। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেয়া বলে সুইপ করে চার মেরে ২১৯ বলে সেঞ্চুুরি পূর্ণ করেন তরুণ এই ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ওপেনার এবং চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পেলেন জাকির। অভিষেক টেস্টে এর আগে বাংলাদেশের জার্সিতে সেঞ্চুরি আছে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আবুল হোসেন রাজুর।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকির। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেটা ব্যাটের কানায় লেগে তারপর প্যাডে আঘাত করে চলে যায় স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে। তাতে ১০০ রানেই ফিরে হয় জাকিরকে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.